ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের স্বীকৃতি দিতে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘বার্জার অ্যাওয়ার্ডস ফর ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৩’। এই প্রতিযোগিতাটিতে 'পেশাদার’ এবং ‘শৌখিন’ এই দুই ক্যাটাগরিতে মোট ছয়টি পুরস্কার দেওয়া হবে। বিজয়ীরা এক লাখ টাকার সঙ্গে সনদ ও ট্রফি পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) ঢাকার গুলশান ক্লাবের ক্রিস্টাল প্যালেস হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পেশাদার এবং নতুন ডিজাইনারদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ দিতে শুরু হতে যাওয়া এই পুরস্কারটির ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বার্জার পেইন্টসের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী বলেন, "ক্রিয়েটিভিটির বড় একটা জায়গা হলো ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ভবিষ্যতে এর ডিমান্ড আরও বাড়বে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই ফিল্ডে প্রফেশনাল ডিগ্রিধারী ছাড়াও অন্যান্য ডিসিপ্লিনের মানুষও ভালো করছে। তাই, আমরা দুই ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।”
জুরি উপদেষ্টা স্থপতি জালাল আহমেদ প্রতিযোগিতার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “দুই ধরনের অ্যাওয়ার্ড থাকবে। একটা প্রফেশনালদের জন্য, আরেকটা শৌখিনদের জন্য (অ্যামেচার)। যারা প্রফেশনাল ডিজাইনার না, তারাও শৌখিন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে তার জন্য ১৮ বছর হতে হবে এবং প্রপোজাল ভৌগোলিক সীমার মাঝে হতে হবে এবং সেই স্থাপনাটি গত পাঁচ বছরে নির্মিত হতে হবে।”
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের নভেম্বরের দিকে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
জুরি প্যানেলের চেয়ারম্যান স্থপতি মো. এহসান খান বলেন, “এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড অ্যান্ড রিকগনিশনের মাধ্যমে সমাজে সমঝোতা তৈরি হয়, সকলে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত হয়। এই অ্যাওয়ার্ডের জাজিং ক্রাইটেরিয়াতে শিল্পীদের ক্রিয়েটিভিটি, যেমন- ইউজ অব কালার, টেক্সচার ইত্যাদি দেখা হবে।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেক্টর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী বছরগুলোতেও বৃদ্ধি পাবে বলে আমার বিশ্বাস।”
তিনি বলেন, “বাড়ি সুন্দর হওয়ার জন্য আপনি কিভাবে ডিজাইন করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। জেলা শহর বা সরকারি বিল্ডিংয়ে বাথরুমের ডিজাইনটা আমি কখনই ঠিকভাবে করতে দেখি না। দেখা যায়, সব জায়গায় গোসলের জায়গাটা মাঝখানে দেয়া। এতে করে পানিতে পুরো বাথরুমটা ভিজে যায়। স্যানিটেশনের এই যে অভ্যাসটা, সেটা আমরা এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের মাধ্যমে করতে পারি।
“আপনার বিল্ডিংয়ের সাইজ যদি ১০০০ স্কয়ারফিট হয় বা হেক্সাগোনাল হয়, তার জন্য আপনার ডিজাইনার ভাড়াও করতে হবে না, বার্জারের কাছে ডিজাইন রেডি থাকবে; আপনি শুধু কাট-পেস্ট করতে পারবেন।”
স্থপতি এহসান খান, তানিয়া করিম, আসিফ এম আহসানুল হক, আবিদ হাসান নূর, সৈয়দা তুহিন আরা করিম এবং শিল্পী ঢালী আল মামুনের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্যানেল এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বার্জার পেইন্টসের চিফ বিজনেস অফিসার এ কে এম সাদেক নওয়াজ, চিফ মার্কেটিং অফিসার তানজিন ফেরদৌস আলম এবং হেড অব কর্পোরেট সেলস সাব্বির আহমেদ।
উল্লেখ্য, অন্তর্ভুক্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এর আগে নারী পেইন্টারদের প্রশিক্ষণ, ইয়াং পেইন্টার্স আর্ট কমপিটিশন, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের বৃত্তির মতো বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বার্জার।